× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও ঘটনাবহুল ২০২৪ সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

রাজধানীতে অগ্নি ঝুঁকিতে আড়াই হাজার ভবন

ডেস্ক রিপোর্ট

২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:২৭ পিএম । আপডেটঃ ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৫৪ পিএম

ছবিঃ সংবাদ সারাবেলা।

আজ (২৬ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে দেশের প্রশাসনিক প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৬ ঘন্টার চেষ্টায় সকাল ৮টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিভেন্স এবং নগর পরিকল্পনাবিদগণ।

ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, রাজধানীতে আগুনের ঝুঁকিতে রয়েছে আড়াই হাজার ভবন। এজন্য অপরিকল্পিত নগরায়নকে দুষছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল। দুর্ঘটনা এড়াতে সচেতনতা ও ভবন সংস্কারের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া রাজধানীর ব্যবসায়ীরা অগ্নি-দুর্ঘটনা মোকাবেলায় শহরজুড়ে নির্দিষ্ট দূরত্বে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানোর আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে নগরবিদদের পরামর্শ সরকারি সংস্থার গাফিলতি ও তদারকির অভাবকে বিবেচেনায় রেখে সমন্বয়হীনতা দূর করে সেবা নিশ্চিত করা।

রাজধানীতে অগ্নি-দুর্ঘটনা নিরসনের বিষয়ে দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের সঙ্গে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল, বাংলাদেশ দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতি সভাপতি মো. নাজমুল হাসান মাহমুদ, নগর পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান এবং ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এর প্রধান স্থপতি কাজী রাকিব এর আলোচনা হয়।

এসময় অপরিকল্পিত নগরায়ন উল্লেখ করে অন্যদের পাশাপাশি নিজেদের দায় স্বীকার করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল।

ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান তৈরির আগে ফায়ার সার্ভিসের মতামত নেয়া হয়নি উল্লেখ করেন মহাপরিচালক বলেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) যখন কোনো নকশা পাস করে, তার আগেই ওই নকশায় ফায়ার সেফটি অনুমোদন করেছি কিনা এটা কিন্তু তারা দেখে। আমাদের অনুমোদনের পর তারা কিন্তু সেটি পাস করে। কঠোরতার পাশাপাশি কিন্তু মানুষকে সচেতন করা জরুরি। যদি ফায়ার হাইড্রেন্ট তৈরি করা যায়, তাহলে ফায়ার ফাইটিং অনেক ক্ষেত্রে সহজ হয়ে যায়।

এদিন তিনি আরও বলেন, ড্যাপে অগ্নি ঝুঁকি মোকাবিলা ও অগ্নি নির্বাপনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা অন্তর্ভুক্ত করারও প্রস্তাব রাখা হবে এ সংস্থার পক্ষ থেকে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তথ্য বলছে, শুধুমাত্র রাজধানীতেই অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিতে রয়েছে ২ হাজার ৬০৩টি ভবন। এরমধ্যে রয়েছে বিপণিবিতান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, আবাসিক ভবন। গণমাধ্যমের ভবনও রয়েছে এ তালিকায়। ছোট পরিসরে অগ্নি নির্বাপনের সরঞ্জাম ও প্রস্তুতি থাকলেও বেশিরভাগ ভবন পুরনো হওয়ায় রিজার্ভার বসানো সম্ভব নয় বলে জানান ভবন মালিক ও ব্যবসায়ীরা।

দুর্ঘটনা এড়াতে সচেতনতা ও ভবন সংস্কারের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়ে বাংলাদেশ দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতি সভাপতি মো. নাজমুল হাসান মাহমুদ, অগ্নি নির্বাপনে শহরজুড়ে নির্দিষ্ট দূরত্বে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানোর আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, আমাদের বলা হচ্ছে ফায়ার হাইড্রেন্টটা নিজেরা লাগাবেন এবং পানি রির্জাভারটা নিজেরা তৈরি করবেন। সরকারি উদ্যোগে প্রতিটি মার্কেটের সামনে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হয় তাহলে এ ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

নগর পরিকল্পনাবিদ . আদিল মুহাম্মদ খান আইডিএয়ের প্রধান স্থপতি কাজী রাকিব বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোকে নিরাপদ রাখতে সমাধানের পথ খোঁজা জরুরি।

কাজী রাকিব বলেন, যত গাইড লাইন থাকুক না কেন যদি সচেতনা না থাকে এবং বাড়ি মার্কেট নির্মাণকারীরা না মানেন তাহলে সেটা খাতা-কলমে থেকে যাবে। 

নগর পরিকল্পনাবিদ . আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ঢাকা শহরে গ্যাস লাইন লিকেজ নিয়ে কোনো কাজ কী হয়েছে, হয়নি তো। তাহলে সারা ঢাকা শহরে এটা রয়ে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ পুরাতন ভবনগুলোকে নিরাপদ করার জন্য কী ধরনের কাজ করতে হবে, সেটা আমাদের প্ল্যান তৈরি করতে হবে। ফায়ার সার্ভিসের নোটিশের বাইরে যদি কোনো কিছু করার না থাকে, তাহলে করবেটা কে?

রাজধানীর নীমতলী, চুড়িহাট্টা বনানীর এফআর টাওয়ারের পর চলতি বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ফায়ার ট্র্যাজেডিতে যোগ হয়েছে আরও একটি নাম- বেইলি রোডের "গ্রিন কোজি" রেস্টুরেন্ট। উত্তরার লাভলিন বনানীর কড়াইল বস্তি। সবশেষ সচিবালয়ে নম্বর ভবনে আগুন। এর আগে ২০২৩ সালের এপ্রিল ভোরে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সে আগুন লাগে। একই দিন বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের পাশাপাশি আরও চারটি বিপণিবিতান আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

 

 

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.